গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?

গাড়ির ব্রেক ফেল কি?

গাড়ির ব্রেক ফেল বলতে বোঝায় গাড়ির ব্রেকিং সিস্টেমের ত্রুটি যার ফলে গাড়ি থামানো যায় না।
গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?

গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?

১। প্রথমেই মানসিকভাবে শক্ত ও শান্ত থাকুন। হঠাৎ ঘটনায় প্যানিক না হয়ে শান্ত থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া বিপজ্জনক পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে। নিজে এবং সকল যাত্রীকে সিটবেল্ট এনশিউর করুন। সিটবেল্ট পরা থাকলেই কেবল এয়ারব্যাগ ডিপ্লয় হয়। এছাড়া কলিশনের ইম্প্যাক্ট শক থেকে স্পাইনাল কর্ড বেঁচে যায়। হেড এবং চেস্ট ইঞ্জুরির মাত্রা কম হবে। পেছনের গাড়িগুলিকে সতর্ক করার জন্য হুইসেল বা হর্ন বাজান।

২। গতি কমাতে এবং আরও নিয়ন্ত্রণ পেতে গিয়ার নিউট্রালে নিন।

৩। হ্যাজার্ড লাইট (যেটাকে আমরা ভুলবশতঃ ইমার্জেন্সি লাইট বলি) জ্বালাবেন। কারণ হ্যাজার্ড লাইট আশেপাশের ড্রাইভারদের সতর্ক করবে।

৪। উইন্ডো নামিয়ে দিন, কার ডোরের সেন্ট্রাল লক খুলে দিন। উইন্ডো নামালে দুইটা সুবিধা এক বাতাস এর কারনে স্পীড কমবে। উচ্চগতিতে জানালা খুলে গাড়ী চললে রিয়ারশীল্ডে বাতাস লেগে গাড়ীকে হালকা পিছনে টেনে ধরবে। অন্যটি হলো গাড়ি খাদে বা পানিতে পরে গেলে দরজা আটকে গেলেও বের হতে সুবিধা হবে। সেন্ট্রাল লক একই কারনে খুলে রাখতে হয়। কেননা কলিশনের পর লক জ্যাম হয়ে যেতে পারে।

৫। গাড়ীর এক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিন এবং গিয়ার নিউট্রাল করুন। কারণ এক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিলে গাড়ি ধীরে ধীরে গতি হারাতে থাকবে।

৬। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গিয়ার ডাউন করুন। এটি ইঞ্জিন ব্রেকিং তৈরি করবে যা গাড়ির গতি কমাতে সাহায্য করবে।

৭। ঘনঘন ব্রেক প্যাডেল পাম্প করতে থাকবেন। 

৮। রাস্তা যদি লম্বা এবং ফাকা হয় তবে গাড়ী সোজা স্টিয়ারিং রাখবেন। রাস্তা যদি ফাকা কিন্তু লম্বা না হয়ে চওড়া হয় সেক্ষেত্রে পেছনে গাড়ী দেখে আকাবাকা (S এর মত) চালাবেন। সামনের রাস্তা অল্প হলে আঁকাবাঁকা চালালে অল্প জায়গায় অধিক পথ অতিক্রম করা যায় এতে কিছুটা হলেও বেশি সময় পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে আশে পাশের গাড়ীকে খেয়াল করতে হবে। 

৯। পার্কিং ব্রেক (যেটাকে সহজাতভাবে আমরা হ্যান্ড ব্রেক বলি) আস্তে আস্তে টানবেন। সাবধানে হ্যান্ড ব্রেক ব্যবহার করুন। হঠাৎ টানলে গাড়ি স্লিপ করতে পারে। পার্কিং ব্রেক একবারে হ্যাচকা টানবেন না এতে গাড়ী উল্টে বা ঘুরে যেতে পারে। পার্কিং ব্রেক দেখবেন তুলার সময় কটকট আওয়াজ হয়। এভাবে ঘাট ধরে আস্তে আস্তে তুলবেন।

১০। আশে পাশে ফাঁকা জায়গা, বড় গাছ, দেয়াল, রক্ষিত আইল্যান্ড এর খেয়াল রাখবেন। গতি কমে আসলে এসবে হিট করে গাড়ী থামান। এতে গাড়ীর ক্ষতি হলেও নিজের এবং যাত্রীর প্রাণ বাঁচবে।

১১। পুরো ব্যাপারটা খুব দ্রুত এবং সুচারু রূপে করতে হবে। এজন্য প্যানিকড হওয়া যাবেনা। 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখবেন:

  • ব্রেক ফেল হলে কখনোই গাড়িকে থামার জন্য হঠাৎ স্টিয়ারিং ঘোরানো যাবে না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে।
  • যদি রাস্তায় বৃষ্টি বা বরফ থাকে, তাহলে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ভেজা রাস্তায় ব্রেক কম কার্যকর হয়।
  • অন্যান্য যানবাহনের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে চেষ্টা করুন।
  • যদি সম্ভব হয়, ডানদিকে রাস্তার পাশে গাড়ি থামান।
  • যদি রাস্তার পাশে থামার জায়গা না থাকে, তাহলে রাস্তার মাঝখানে থামার চেষ্টা করুন।
  • যদি আপনি রাস্তার পাশে থামতে না পারেন, তাহলে নিয়ন্ত্রণ হারানোর আগে একটি নিয়ন্ত্রিত স্থান, যেমন একটি মাঠ বা খালি রাস্তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন।
  • খালি মাঠ বা কোনো বাধা থাকলে সেখানে থামানোর চেষ্টা করুন।

  • ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে ডান দিকে থামার ইচ্ছা প্রকাশ করুন।

  • যদি নিজে গাড়ি থামাতে না পারেন, তাহলে অন্য কোনো যানবাহনের সাহায্য নিন। যানবাহনের পেছনে সতর্কতা চিহ্ন রেখে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করুন।

  • গাড়ি থামানোর পর, ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন এবং ইমার্জেন্সি ব্রেক টেনে রাখুন।
  • নিয়মিত গাড়ির ব্রেক সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
  • ত্রুটিপূর্ণ ব্রেক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
  • গাড়িটি চালানোর আগে একজন যোগ্য মেকানিক দ্বারা ব্রেক সিস্টেম পরীক্ষা করিয়ে নিন।

  • যদি আপনি উপরোক্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করেন তবে আপনি গাড়ির ব্রেক কাজ না করলেও দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হতে পারেন।

  • মনে রাখবেন, নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

গাড়ীর ব্রেক ফেইল করা এইটা দূর্ঘটনা। কারো লাইফে যেন এরকম অভিশপ্ত দিন না আসে সেজন্য প্রতি ৬ মাস অন্তর অন্তর ব্রেক সার্ভিসিং করাবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা যেন এরকম খারাপ দিন না আসে। সবাই সেইফ ড্রাইভ করুন, হ্যাপি ড্রাইভিং।

আরও পড়ুনঃ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কেনার গাইডলাইন

গাড়ির ব্রেক ফেল করার কারণ:

গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়া একটি বিপজ্জনক সমস্যা যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কি?

ব্রেক ফেল হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

1. ব্রেক সিস্টেমের সমস্যা:

  • ক্ষতিগ্রস্ত বা পুরানো ব্রেক প্যাড: ব্রেক প্যাড সময়ের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। যদি ব্রেক প্যাড খুব পাতলা হয় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা ব্রেকিং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

  • ক্ষতিগ্রস্ত বা ফুটো ব্রেক লাইন: ব্রেক লাইন দিয়ে হাইড্রোলিক তরল প্রবাহিত হয় যা ব্রেক প্যাডগুলিকে চাপ প্রয়োগ করে। যদি ব্রেক লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা ফুটো হয়, তবে তা ব্রেক তরলের চাপ হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

  • ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডার: ব্রেক মাস্টার সিলিন্ডার ব্রেক লাইনে হাইড্রোলিক তরলের চাপ তৈরি করে। যদি মাস্টার সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা ব্রেকিং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

  • অপর্যাপ্ত ব্রেক তরল: ব্রেক তরলের স্তর নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত এবং প্রয়োজনে refilled করা উচিত। যদি ব্রেক তরলের স্তর খুব কম হয়, তবে তা ব্রেকিং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

2. ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা:

  • ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেক লাইট সুইচ: ব্রেক লাইট সুইচ ব্রেক প্যাডে চাপ প্রয়োগ করার সময় ব্রেক লাইটগুলিকে সক্রিয় করে। যদি সুইচটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা ব্রেক লাইটগুলিকে কাজ করতে বাধা দিতে পারে এবং ড্রাইভারকে সতর্ক করতে পারে না যে ব্রেকগুলি কাজ করছে না।
  • ক্ষতিগ্রস্ত অ্যান্টি-লক ব্রেক সিস্টেম (ABS): ABS স্কিডিং প্রতিরোধ করে এবং আরও নিয়ন্ত্রিত ব্রেকিং প্রদান করে। যদি ABS সিস্টেমটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা ব্রেকিং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

3. যান্ত্রিক সমস্যা:

  • জ্যাম হওয়া ব্রেক ক্যালিপার: ব্রেক ক্যালিপারগুলি ব্রেক প্যাডগুলিকে ডিস্ক বা ড্রামের বিরুদ্ধে চাপ দেয়। যদি ক্যালিপারগুলি জ্যাম হয়ে যায়, তবে তা ব্রেকগুলি স্থিরভাবে জড়িয়ে রাখতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

  • ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেক রোটর বা ড্রাম: ব্রেক রোটর বা ড্রাম সময়ের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। যদি রোটর বা ড্রাম খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা ব্রেকিং ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে এবং ব্রেক ফেল হতে পারে।

4. অন্যান্য কারণ:

  • অতিরিক্ত বোঝা: গাড়িতে ওজনের পরিমাণ ব্রেকের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে। যদি গাড়িতে নিরাপদ বহন সীমা অতিক্রম করে ওজন থাকে, তাহলে ব্রেকগুলিকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, যা ব্রেক ফেলের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

  • দূষিত ব্রেক তরল: ব্রেক তরল সময়ের সাথে সাথে জল শোষণ করে ফেলে, ফলে এর ফুটন্ত বিন্দু কমে যায়। যদি ব্রেক তরল ফুটে যায়, তাহলে এটি বাষ্পে পরিণত হয় এবং ব্রেক লাইনে কম্প্রেশন সৃষ্টি করে, যা ব্রেক ফেলের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

  • অকেজো গ্যাসকেট: কিছু গাড়িতে ব্রেক বুস্টার সিস্টেম থাকে যা ব্রেকিং প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এই সিস্টেমটি ভ্যাকুয়াম গ্যাসকেট ব্যবহার করে, যা সময়ের সাথে সাথে ফুটো হয়ে যেতে পারে। ফুটো হওয়া গ্যাসকেট ব্রেক বুস্টারকে অকার্যকর করে তুলতে পারে, ফলে ব্রেক প্যাডে প্রয়োজনীয় চাপ প্রয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

  • অবহেলাজনক ড্রাইভিং: পাহাড়ের এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে ব্রেক ব্যবহার করা, ঘন ঘন এবং জোরে ব্রেকিং করা ইত্যাদি অভ্যাস গাড়ির ব্রেক সিস্টেমের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এটি ব্রেক প্যাডের অতিরিক্ত পরিধান, ব্রেক তরলের ফুটনা এবং ultimately (শেষ পর্যন্ত) ব্রেক ফেল হওয়ার কারণ হতে পারে।

গাড়ির ব্রেক ফেল হওয়া একটি গুরুতর সমস্যা। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সচেতন ড্রাইভিং এবং সতর্কতা বজায় রাখা গাড়ির ব্রেক ফেলের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনি গাড়ি চালানোর সময় ব্রেক প্যাডে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন যোগ্য মেকানিকের সাথে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুনঃ যে লক্ষণে বুঝবেন গাড়ির ইঞ্জিন ভালো নেই

গাড়ির ব্রেক ফেল রোধে করণীয়:

গাড়ির ব্রেক ফেল এড়াতে নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সচেতন ড্রাইভিং গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো:

  • নিয়মিত ব্রেক পরিদর্শন: প্রস্তুতকারকের ম্যানুয়াল বা নির্দেশন অনুযায়ী নিয়মিতভাবে আপনার গাড়ির ব্রেক সিস্টেমটি একজন যোগ্য মেকানিক দ্বারা পরিদর্শন করিয়ে নিন। এটিতে ব্রেক প্যাড, ব্রেক লাইন, ব্রেক তরলের স্তর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি পরীক্ষা করা হবে।

  • ব্রেক প্যাড প্রতিস্থাপন: প্রস্তুতকারকের সুপারিশ অনুযায়ী সময়মত ব্রেক প্যাড প্রতিস্থাপন করুন। খুব পাতলা বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্রেক প্যাডগুলি অকেজো এবং ব্রেক ফেল হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

  • ব্রেক তরল পরীক্ষা: ব্রেক তরলের স্তর এবং গুণমান নিয়মিত পরীক্ষা করুন।  সময়ের সাথে সাথে, ব্রেক তরলটি নষ্ট হয়ে যায় এবং এর কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রস্তুতকারকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্রেক তরল পরিবর্তন করুন।

  • সতর্কবার্তা লক্ষ্য করুন: গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কোনো ব্রেক সতর্কবার্তা জ্বালানো থাকলে উপেক্ষা করবেন না। এটি ব্রেক সিস্টেমের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন মেকানিকের সাথে যোগাযোগ করুন।

  • চড়াচড়ি ড্রাইভিং এড়িয়ে চলুন: ঘন ঘন এবং জোরে ব্রেকিং এড়িয়ে চলুন। এটি ব্রেক প্যাড এবং অন্যান্য ব্রেক উপাদানগুলির অতিরিক্ত পরিধান ঘটায়।

  • গতিসীমা মেনে চলুন: নিরাপদ গতিসীমা মেনে চালানো গুরুত্বপূর্ণ। উচ্চ গতি থেকে হঠাৎ থামার প্রয়োজন এড়াতে গতি কমানোর জন্য ইঞ্জিন ব্রেকিং কৌশল ব্যবহার করুন।

  • পার্কিং গিয়ার ব্যবহার করুন: পাহাড়ের মতো ঢালু এলাকায় পার্কিং করার সময় পার্কিং ব্রেক ব্যবহার করুন। গাড়িকে শুধুমাত্র গিয়ারে রেখে দেওয়া যথেষ্ট নয়।

  • অতিরিক্ত বোঝা এড়িয়ে চলুন: গাড়িতে ওজনের পরিমাণ ব্রেকের কার্যকারিতা প্রভাবিত করে। যদি গাড়িতে নিরাপদ বহন সীমা অতিক্রম করে ওজন থাকে, তাহলে ব্রেকগুলিকে আরও বেশি কাজ করতে হয়, যা ব্রেক ফেলের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

  • সাবধানে নেমে যান: বিশেষ করে খাড়া ঢালে নামার সময় সাবধানে ব্রেক ব্যবহার করুন। দ্রুত গতিতে নেমে যাওয়া এবং বারবার ব্রেক ব্যবহার করা ব্রেক ফেলের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

মনে রাখবেন:

  • নিয়মিত গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
  • যদি আপনি ব্রেক প্যাডেল টিপে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করেন, যেমন নরম বা স্পঞ্জের মতো অনুভূতি, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একজন মেকানিকের সাথে যোগাযোগ করুন।
  • গাড়ি চালানোর সময় সচেতন থাকুন এবং রাস্তার পরিস্থিতি  সচেতন থাকুন।
  • গাড়ির ব্রেক সিস্টেমটি নিরাপদ ড্রাইভিংয়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই টিপসগুলি অনুসরণ করে আপনি ব্রেক ফেল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url