চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিসঃ

‘চোখ ওঠা’ একটি অত্যন্ত পরিচিত রোগ। চিকিৎসা শাস্ত্রে এ-রোগকে কনজাংটিভাইটিস বলা হয়। কনজাংটিভা হচ্ছে চক্ষু গোলকের বাইরের স্তরের (Sclera) উপর একটি স্বচ্ছ আবরণ।

চোখ ওঠা রোগ

চোখের পাতার উপর ভিতরের অংশ এবং চক্ষু–গোলকের বাইরের অংশটি এক প্রকার ঝিল্লি দ্বারা আবৃত থাকে। এই ঝিল্লি বা পর্দাই হচ্ছে কনজাংটিভা। কনজাংটিভা এর প্রদাহকেই চোখ-ওঠা বলা হয়।

চোখ ওঠা রোগ
চিত্রঃ সুস্থ চোখ।

বিভিন্ন কারণে চোখে কনজাংটিভা-এর প্রদাহ হতে পারে। প্রধানত ভাইরাস সংক্রমণ, জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ এবং এলার্জিজনিত কারণে এ রোগের সৃষ্টি হয়। তবে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ শীত ঋতুর শেষে এবং বসন্তের শুরুতে বেশিরভাগ দেখা যায়, কারণ শীতের সময় বাতাসে জীবাণু কম থাকে, কিন্তু বসন্ত আসার সাথে সাথে বাতাসে ও পরিবেশে এই জীবাণুগুলো বেড়ে যায়। কনজাংটিভাইটিস-এর কারণ হচ্ছে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ।

ভাইরাল চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস-এর উৎস ও উপসর্গ বা লক্ষণঃ

চোখ ওঠা রোগে বিশেষত ভাইরাসের আক্রমণে হঠাৎ করে চোখ লাল হয়ে যায়। প্রথমত এক চোখ, পরে দু’চোখই আক্রান্ত হয়। এতে চোখ লাল হয়ে খচখচ করে বা চুলকায়, পানি পড়ে ও চোখের পাতা সামান্য ফুলে যেতে পারে। চোখে কোনো পিচুটি (কেতুর) বা ময়লা হয় না। কিন্তু সামান্য আঠালো, পিচ্ছিল পদার্থ বের হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি সাধারণত স্বাভাবিক থাকে। ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস–এর সংক্রমণ অতি অল্প সময়ে ছড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা একই পেশায় নিযুক্ত জনাকীর্ণ জায়গায় এ রোগ বেশি ছড়ায়। এই সংক্রামক রোগ অত্যন্ত মারাত্মক যা বাতাসে ছড়ায়, ফলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। কখনো কখনো এ-রোগ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে, আর বাংলাদেশে এই সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ বেশি।

চোখ-ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস রোগ ছড়ায় সাধারণত আক্রান্ত রোগীর হাঁচি, সর্দি, কাশি, জোরে-কথা-বলা ও শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে। এছাড়া রোগীর ব্যবহৃত জিনিস যেগুলো রোগীর চোখ থেকে নিঃসৃত তরল পদার্থের সাথে মিশে যাবার সম্ভাবনা আছে সেগুলোর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে, কেননা এটি সম্পূর্ণ ছোঁয়াচে রোগ।

চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয়ঃ

বাসায় বা বাড়িতে কারো ভাইরাসজনিত কনজাংটিভাইটিস হলে প্রথমেই তাকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে কারো সংক্রমণ হলে তাকে সাময়িকভাবে ছুটি নিতে হবে। রোগীর ব্যবহৃত যেকোনো জিনিস বিশেষত রুমাল, তোয়ালে বা গামছা আলাদা রাখতে হবে যাতে কোনো ধরনের নিঃসৃত আঠালো, পিচ্ছিল পদার্থ জমতে না পারে।

এজন্য নরমাল স্যালাইন অথবা এর অভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার রাখতে হবে। চোখে খুব বেশি নিঃসৃত আঠালো পদার্থ জমে চোখ খুলতে কিংবা তাকাতে অসুবিধা হলে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা ভাল। প্রয়োজনে তুলা ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে চোখের যন্ত্রণা এবং তাকানোর সুবিধার্থে কালো কাঁচের চশমা (গগল্স) ব্যবহার করা উচিত।

এছাড়া চোখের যন্ত্রণা ও চুলকানি প্রশমিত করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট, কোনো এ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ, যেমন ক্লোরামফেনিকল, ফোঁটা-আকারে চোখে দিনে ৬ বার এবং টেরামাইসিন মলম রাতে ১ বার দেওয়া যায়। অনেকে সামাজিক কুসংস্কারে প্ররোচিত হয়ে চোখে শামুকের রস, পাতার রস বিশেষ করে তুলশী পাতার রস বা গোলাপ পানি ব্যবহার করে থাকেন।

এগুলো কখনো ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া চোখে কোনো প্রকার স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না, কেননা স্টেরয়েড ব্যবহারে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এতে কর্ণিয়ার আলসার হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হতে পারে।

চোখ ওঠা রোগ
চিত্রঃ আক্রান্ত চোখ।

দু’দিনের মধ্যে চোখের অবস্থার উন্নতি না হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশে যে ভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে, চিকিৎসকদের ধারণা এটি এডিনোভাইরাস চোখের মণিতে এর ক্ষত সৃষ্টি করার ক্ষমতা রয়েছে। চোখের সঠিক সমস্যা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের কাছে গেলে তিনিই সঠিকভাবে বলে দিবেন কি ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে চোখ ওঠাঃ

ভাইরাসজনিত সংক্রমণ ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রমিত হলে চোখ-ওঠার সব উপসর্গই থাকবে। তবে সবচেয়ে যে উপসর্গটির প্রতি বেশি লক্ষ্য রাখতে হবে সেটা হলো চোখে ময়লা বা পিচুটি জমে কিনা। পিচুটি জমলে চোখের পাতা কম ফুলে, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে ফুলতেও পারে।

সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর চোখের পাতা দু'টি একটি অপরটির সঙ্গে লেগে আটকে থাকে, টেনে বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে আস্তে আস্তে খুলতে হয়। চোখে পিচুটি হওয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের প্রধান লক্ষণ এবং জরুরীভাবে চিকিৎসা না করালে চোখের মণিতেও ঘা হতে পারে। তাই এ রোগে সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরী।

আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয়ঃ

চোখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে কনজাংটিভাইটিস হলে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সেটা হলো কোনো অবস্থায় চোখ হাত দিয়ে রগড়ানো বা কচলানো যাবে না।চোখে হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাত সাবান দিয়ে ধূয়ে ফেলা উচিত। চোখ পরিষ্কার করতে হলে বিশুদ্ধ পানিতে তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর ব্যবহার্য যাবতীয় জিনিস বিশেষত তোয়ালে/গামছা, গায়ের কাপড়, রুমাল আলাদা রাখতে হবে।

চোখে ক্লোরামফেনিকল বা জেনটামাইসিনজাতীয় চোখের ড্রপ দিনে ৫/৬ বার ব্যবহার করা যায়। রাতে যেকোনো এ্যান্টিবায়োটিক চোখের মলম (Antibiotic eye ointment) ব্যবহার করা যায়। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

 ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হলেও চোখে স্টেরয়েড ব্যবহার করা উচিত নয় এবং ব্যবহার করলে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। দু'তিন দিনের মধ্যে রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

চোখে হাত দিলে সঙ্গেসঙ্গে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত। চোখ পরিষ্কার করতে হলে বিশুদ্ধ পানিতে তুলা ভিজিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। রোগীর ব্যবহার্য যাবতীয় জিনিস বিশেষত তোয়ালে/গামছা, গায়ের কাপড়, রুমাল আলাদা রাখতে হবে। চোখে ক্লোরামফেনিকল বা জেনটামাইসিনজাতীয় চোখের ড্রপ দিনে ৫/৬ বার ব্যবহার করা যায়।

এলার্জিজনিত কারণে চোখ-ওঠাঃ

চোখে ব্যবহার করা হয় এমন যেকোনো বস্তু থেকে এলার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে। এসব ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যে রয়েছে কসমেটিকস্, কাজল, সুরমা, ইত্যাদি। তবে বাতাসে ভাসমান ফুলের রেণু বা খাদ্য থেকেও এলার্জি হতে পারে। এলার্জিজনিত সংক্রমণ হলে চোখে কোনো পিচুটি বা ময়লা জমে না এবং চোখের পাতাও আটকে থাকে না।

কিন্তু চোখ প্রচন্ড চুলকায় এবং চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে ওঠে। চুলকানি ভাবটা দিনে-রাতে যেকোনো সময় হতে পারে। এতে চোখ দিয়ে সামান্য পরিমাণে পানি পড়তে পারে। তবে দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে।

আক্রান্ত রোগীর জন্য করণীয়ঃ

চোখে এলার্জি হলে প্রাথমিক অবস্থায় কুসুম-গরম পানিতে চোখ ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে কুসুম গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে চোখের পাতার উপর সেক দেওয়া যেতে পারে। যদি বুঝা যায় কি কারণে এলার্জি হচ্ছে তবে সে কারণ থেকে নিজেকে রাখা উচিত। যদি ২/৩ দিনের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হয় তবে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ডাক্তারগণ এ রোগের জন্য এ্যান্টিহিস্টামিনজাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। অনেক সময় চক্ষু বিশেষজ্ঞগণকে স্টেরয়েড দিতে দেখা যায়। চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই স্টেরয়েড ব্যবহার করা যাবে না।

কনজাংটিভাইটিস-এর কারণে সাধারণত অন্ধত্ব হয় না। তবে কুসংষ্কারের জন্য আগেই বলা হয়েছে যে অনেকে চোখে বিভিন্ন গাছ/পাতার রস, শামুকের রস, ফলের রস বা অন্য কোনো কিছু চোখে ব্যবহার করে থাকেন। এধরনের হাতুড়ে চিকিৎসায় চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি চোখ চিরতরে অন্ধও হয়ে যেতে পারে।

চোখ ওঠা রোগের জন্য সাধারণ সতর্কতাঃ

মনে রাখতে হবে, দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর এ-রোগের সংক্রমণ নির্ভর করে না, কিন্তু রোগের তীব্রতা, স্থায়ীত্ব ইত্যাদি প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে, যেমনঃ- একজন সুস্থ মানুষ (বা যার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি আছে) তার অল্প সময়েই নিরাময় ঘটতে পারে, নূন্যতম ৩ দিনের মধ্যেই। আবার যার সংক্রমণের তীব্রতা বেশি হবে এবং যার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তার বেশি সময় (৭ দিন) লাগতে পারে। এ রোগের কোনো টিকা বা প্রতিষেধক নেই।

খাবার গ্রহণেও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, অর্থাৎ স্বাভাবিক সবকিছুই খাওয়া যাবে। কনজাংটিভাইটিস-এর কারণে সাধারণত অন্ধত্ব হয় না। তবে কুসংষ্কারের জন্য আগেই বলা হয়েছে যে অনেকে চোখে বিভিন্ন গাছ-পাতার রস, শামুকের রস, ফলের রস বা অন্য কোনো কিছু চোখে ব্যবহার করে থাকেন। এধরনের হাতুড়ে চিকিৎসায় চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, এমনকি চোখ চিরতরে অন্ধও হয়ে যেতে পারে।

স্বাভাবিক অবস্থায় চোখের ময়লা পরিস্কার করলে, নিজে ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এবং চোখে একটি এ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করলে এ রোগ ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে ভাল হয়ে যায়। তবে তাড়াতাড়ি আরোগ্য না হলে বা চোখের অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা যায়।

এর প্রধান কারণ সংক্রামক রোগ সম্পর্কে অসচেতনতা বা অজ্ঞতা। বিভিন্ন সংক্রামক রোগে এদেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিবছরই আক্রান্ত হচ্ছে। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ–সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি এসব রোগের প্রতিরোধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরী।

চোখ ওঠা রোগীরা কখন চিকিৎসকের কাছে যাবে?

১। যখন আপনার চোখ থেকে ঘন হলুদ কিংবা সবুজাভ হলুদ রঙের ময়লা পদার্থ বের হয়।

২। চোখ ব্যথা থাকলে।

৩। চোখে ঝাপসা দেখতে পেলে  অথবা দেখতে সমস্যা হলে।

৪। চোখের সাদা অংশ ফুলে উঠলে কিংবা লাল হয়ে গেলে।

চোখ ওঠা রোগীরা যা করবেন নাঃ

১। কোনো  চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া চোখের ড্রপ ও ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না।

চোখ ওঠা রোগের প্রতিকার বা চোখ উঠা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে করণীয়ঃ

১। ঘন ঘন  সাবান দিয়ে হাত ভালোমতো পরিষ্কার করুন।

২। চোখে হাত না দেওয়া।

৩। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা।

৪। ধুলোবালি,আগুন এবং রোদে কম যাওয়া।

৫। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া।

৬। পুকুর বা নদী নালায় গোসল না করা।

৭। রুমালের পরিবর্তে নরম ও পরিষ্কার টিস্যু ব্যবহার করা।

৮। তোয়ালে বা গামছা সহ অন্যান্য জিনিস পরিবারের সবাই আলাদা ব্যবহার করা।

৯। চোখ ওঠা খুবই ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের থেকে অন্যজনের হতে পারে। সুতরাং এসব ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধের জন্য পরিবারের সবাই কাপড়, তোয়ালে ও অন্যান্য জিনিস আলাদা ব্যবহার করুন।

১০। যেসব জিনিসে অ্যালার্জিক তা থেকে  দূরে থাকুন।

১১। আক্রান্ত হলে ঘরে বিশ্রাম নিন।

১২। সবসময় হাত চোখ পরিষ্কার রাখতে হবে।

১৩। বাড়িতে কারও এ রোগ হলে কোয়ারেন্টাইন পদ্ধতি অবলম্বন করা৷

১৪। চোখের সাজে অন্যের প্রসাধনী ব্যবহার না করা।

১৫। আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসা পরিহার করতে হবে।

১৬। চোখকে ধুলাবালি থেকে মুক্ত রাখতে হবে।

১৭। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও টিস্যু সাথে রাখতে হবে।

১৮। চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়াতে হবে।

১৯। বাইরের পানি দিয়ে চোখে ঝাপটা দেওয়া যাবে না।

চোখ ওঠা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

চোখ ওঠা রোগের ড্রপঃ

চোখ ওঠা রোগ

চোখ ওঠার দোয়াঃ

চতুর্দিকে "চোখ ওঠা" রোগ শুরু হয়েছে। সবাই এই দোয়াটি পড়ুনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি ওয়া শাররি বাসারি ওয়া সাররি লিসানি ওয়া সাররি ক্বালবি ওয়া সাররি মানিয়্যি।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা, চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা, অন্তরের অপকারিতা এবং বীর্জের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদঃ১৫৫১)

নিচের এই দোয়াটিও পড়তে পারেনঃ

اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ بَصَرِىْ

বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি।

বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।

আরও পড়ুনঃ চোখের কতগুলো সাধারণ সমস্যা ও তার ঘরোয়া প্রতিকার

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url